ভারতীয় দণ্ডবিধীর চরমতম শাস্তি- মৃত্যুদণ্ড বা ফাঁসি। 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' অপরাধের ক্ষেত্রে এই শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, কেন সবসময় সূর্য ওঠার আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়?
আজমল কাসব, আফজল গুরু বা ইয়াকুব মেমনের মতো যাদের ভারতে ফাঁসি হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের ক্ষত্রেও এই একই সময় বেছে নেওয়া হয়েছে ফাঁসির জন্য। কিন্তু কেন?
সূর্যদয়ের আগেই, ভোর রাত্রে 'অপরাধী'কে সব সময় ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়ার কারণ মূলত তিনটি।
১) আইন অনুসারে একটি ফাঁসি সংঘটিত করতে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেকগুলো কাজ ধাপে ধাপে করতে হয়। নানান খাতাপত্রে একাধিক বিষয় নথিভূক্ত করতে হয়। ফলে সূর্যদয়ের আগেই গোটা প্রক্রিয়াটা শুরু করলে ব্যাপারটা অনেকটা আগেই মিটে যায়। এর ফলে, জেলের দৈনন্দিন কাজে আর কোনও ব্যাঘাত ঘটে না বা দেরি হয় না।
২) অনেক ক্ষেত্রেই ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজে জনমত তৈরি হয়। বিভিন্ন গণআন্দোলন ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই ভোর রাত্রের এই সময়টিকেই বেছে নেওয়া হয় জেলের তরফ থেকে যখন সাধারণত সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন থাকেন।
৩) ফাঁসি হয়ে যাওয়ার পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়াই রেওয়াজ। তাই, ফাঁসি সূর্যদয়ের আগেই ঘটে গেলে দেহটা পরিজনদের হাতে সকাল সকালই তুলে দেওয়া যায়। যার ফলে পরিবারের তরফেও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াকর্ম সারার জন্য খানিকটা সময় থাকে।
সূত্র ঃ জি ২৪ ঘন্টা
আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
|
সবার আগে খবর পেতে , পেইজে লাইক দিন
|