উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে সরকারি প্রচেষ্টায় শ্রমিক সংগঠনগুলি ও মালিক পক্ষের একাধিক সংগঠনের মধ্যে আলোচনা ও পর্যালোচনা চলছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি এই নুন্যতম মজুরি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আছে। একদিকে যখন নুন্যতম মজুরি নিয়ে প্রক্রিয়া চলছে সেই সময় চা-শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকার ইনট্রিম ভাবে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৬টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে।এতেই খুশির লহর বইছে উত্তরের চা বলয়ে। গতকালই রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার জন্য একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি অঞ্চল তৃনমুল কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক বাইক র্যালির আয়োজন করা হয়। এদিন দুফুর ১টা নাগাদ রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বাইক র্যালি যাত্রা শুরু করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বুলু চিকবরাইক, রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিকবরাইক সহ অন্যান্যরা। বিধায়ক নিজে এই র্যালিতে অংশ নেন। পরে এক এক করে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৯টি চাবাগান ভ্রমণ করে আবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এসে র্যালি যাত্রা শেষ করে।বিধায়ক বলেন, শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে প্রক্রিয়া চলছে। শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে।এতে শ্রমিকদের মাথা পিছু প্রায় ৭০০টাকা মাসিক মজুরি বাড়বে।শ্রমিকদের খুব উপকার হবে। শ্রমিকরা খুশি। এজন্য আজ মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা বাইক র্যালির আয়োজন করেছি। আজ এই বাইক র্যালির মাধ্যমে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৯ চাবাগানে যাব সেখানে শ্রমিকদের বোঝাব যে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের প্রতি কতটা আন্তরিক । চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আজ আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
|
সবার আগে খবর পেতে , পেইজে লাইক দিন
|